অবশেষে উপহারের ঘর পাচ্ছেন তিনবারের চেয়ারম্যান

জরাজীর্ণ টিনের ঘরে বসবাস করে আসছেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উল্যা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই মেয়াদের সভাপতিও ছিলেন।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর লেখা একটি খোলা চিঠি লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের নজরে পড়ে। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে একটি ঘর দেওয়ার উদ্যোগ নেন তিনি।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দত্তপাড়া ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উল্যার কাছে ঘরের নকশা হস্তান্তর করেন। এসময় চিকিৎসার জন্য তাকে ২৫ হাজার টাকা দেয়া হয়।

এসময় রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উল্যা মনা বাকশাল, মো. নুরুজ্জামান, দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহছানুল কবির রিপন ও আবদুল ওয়াহেদ মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, চেয়ারম্যান থাকাকালীন মফিজ উল্যার সততার ঘটনাগুলো আজও মানুষের মুখে মুখে রয়েছে। তিনবার চেয়ারম্যান হয়ে তিনি জনগণের কল্যাণে কাজ করেছেন। এখন তার ৭৮ বছর বয়স। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। জরাজীর্ণ একটি ঘরে তিনি বসবাস করছেন। তার তিন ছেলে ও চার মেয়ে।

স্ত্রীকে নিয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধার ভাতা দিয়ে কোনোরকম দিনাতিপাত করছেন। বৃদ্ধ বয়সে নানা রোগে আক্রান্ত হলেও প্রয়োজনীয় ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই তার। এতে তিনি প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি লেখলে ফেসবুকে তা ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মফিজ উল্যা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের দায়িত্বে থাকাকালীন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে জনগণের কল্যাণে কাজ করেছি। নিজের জন্য অট্টালিকা কিংবা সম্পদ গড়ার চিন্তাভাবনা কখনোই আমার মাঝে কাজ করেনি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যার উপহার ঘর ও যারা এটি দেওয়ার জন্য এসেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, মফিজ উল্যা একজন সৎ জনপ্রতিনিধির উদাহরণ। তিনি এখন জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছেন। এটি খুবই বেদনাদায়ক। যতদিন বাঁচেন, ততদিন যেন একটি ভালো ঘরে থাকতে পারেন এজন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তাকে একটি ঘর দেওয়া হচ্ছে।

Wellcome to our website...